ক্রেডিট রেটিং দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
বর্তমানে বিশ্বের প্রায় সব মুক্তবাণিজ্যের দেশেই এই ক্রেডিট রেটিং সেক্টর রয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী ত্রিশ লাখ টাকা বা তদূর্ধ্ব হলে যে কোন
ব্যক্তিস্বত্তা বা প্রতিষ্ঠানের ঋণকে ক্রেডিট রেটিং করতে হবে। এই ক্রেডিট রেটিং
করা হলে তাবত ব্যাংক, প্রতিষ্ঠানের প্রচুর সুবিধা হয়। যেমন, যে ব্যাংক ঋণ দিচ্ছে
তার আর্থিক তারল্যের একটি স্বচ্ছ চিত্র ফুটে উঠবে। আবার, অন্যদিকে উদ্যোক্তা তার
ঋণের পরিমান বাড়িয়ে বা অন্য ব্যাংক থেকে নতুন ঋণপত্র সচল করতে পারেন।
এখন এই ক্রেডিট রেটিংকে পুঁজি করে ছাতা’র(!) মতো গজিয়ে ওঠা কিছু ক্রেডিট
রেটিং প্রতিষ্ঠান ব্যাংক কর্মকর্তাদের অল্প দাম প্রস্তাব করে ক্রেডিট রেটিং
রিপোর্ট তৈরি করছে। এমনকি, ব্যাংকারদের ঘুষ প্রদান বাবদ বাজারকে অস্থিতিশীল করার মত
একটি অবস্থা সৃষ্টি করেছে। অনেক ব্যাংকার নিজেই ঘুষ নেয়ার জন্য প্রস্তাব করছে। এই কাজ করার ফলে তারা নিজেদের অস্তিত্বকে যে হুমকির
মুখে ফেলে দিচ্ছে তা তারা নিজেরাও জানে না। এমনকি কর্পোরেট রেটিং এর বদলে ভুল করে
এসএমই রেটিং দিয়ে দিচ্ছে এইসব প্রতিষ্ঠান। অভিযোগ উঠেছে রিপোর্ট ফাইল পাঞ্চ ফাইল
করে ব্যাংকে সাবমিট করার।
ক্রেডিট রেটিং এ কয়েক বছর ধরে ব্যাংকিং সেক্টরকে সহায়তা দিয়ে আসছে ক্রিসল,
ক্র্যাবের মতো বড় বড় প্রতিষ্ঠান গুলি। তবে অন্যান্য কিছু প্রতিষ্ঠানের অসচ্ছ
কর্মকান্ডের কারণে হয়তো ইন্ড্রাস্টিতে অশান্তি ও অরাজকতা বাড়তে পারে।